চলমান প্রসঙ্গ
পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন, নববর্ষ উৎসব হিসেবে পরিচিত। এটি প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে এবং ১৫ এপ্রিল ভারতে উদযাপিত হয়।
সতর্কতা: পহেলা বৈশাখ মুসলিমদের বিশেষ কোন দিবস নয়, তাই উৎসব পালন থেকে বিরত থাকুন। শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
নিচে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য তুলে ধরা হল-
- পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি ঐতিহ্য ও আনন্দের প্রতীক।
- এই দিনে মানুষ পুরনো বছরের দুঃখ-কষ্ট ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করার অঙ্গীকার করে।
- সকালে ‘হালখাতা’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের নতুন হিসাব খাতা উপহার দেন।
- মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের অন্যতম আকর্ষণ, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
- বাঙালি খাবার, যেমন পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ এবং বিভিন্ন পিঠা, এই দিনে বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়।
- শহর ও গ্রামে মেলা বসে, যেখানে লোকজ গান, নৃত্য, ও বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হয়।
- লাল-সাদা রঙের পোশাক এই উৎসবের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
- গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যেমন নৌকা বাইচ, কাবাডি এবং ষাঁড়ের লড়াই, পহেলা বৈশাখের বিনোদনের অংশ।
- কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, বিশেষ করে “এসো হে বৈশাখ,” এই দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব পায়।
- পহেলা বৈশাখ সবার জন্য একটি সর্বজনীন উৎসব, যা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উদযাপন করে।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলিমদের জন্য উৎসবের নির্ধারিত দিন হলো দুটি: ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। ইসলামী শিক্ষা অনুযায়ী, মুসলিমদের জীবনাচারে এমন কোনো উৎসব বা কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয় যা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
পহেলা বৈশাখের অনেক কর্মকাণ্ড, যেমন মঙ্গল শোভাযাত্রা বা কিছু লোকাচার, ইসলামী বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ইসলামপ্রিয় মুসলিমদের এ ধরনের উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিৎ।