চলমান প্রসঙ্গপ্রশ্ন ও উত্তর

পহেলা বৈশাখ ২০২৬ কবে ও কত তারিখে হবে?

আসসালামু আলাইকুম, আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো পহেলা বৈশাখ ২০২৬ কবে ও কত তারিখে হবে?

একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের সবারই পহেলা বৈশাখের সময় জানা উচিৎ, তবে পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন উৎসব নয়। তাই সকলকে ১লা বৈশাখের উৎসব পালন না করার অনুরোধ করা হলো।

পহেলা বৈশাখ কবে ২০২৬?

২০২৬ সালের পহেলা বৈশাখ রবিবার, ১৪ এপ্রিল তারিখে।

পহেলা বৈশাখ ২০২৬ ইংরেজী কত তারিখে?

২০২৬ সালের পহেলা বৈশাখ রবিবার, ১৪ এপ্রিল তারিখে।

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ বাংলাদেশে

বাংলাদেশে, ২০২৬ সালের পহেলা বৈশাখ রবিবার, ১৪ এপ্রিল তারিখে।

পহেলা বৈশাখ কবে হয়?

পহেলা বৈশাখ প্রতি বছরের ১৪ই এপ্রিল তারিখে হয়।

পহেলা বৈশাখ কবে থেকে শুরু হয়?

ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়।

৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে কর্ণসুবর্ণ রাজ্যাভিষেকের বছর থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হয়। ১৫৫৬ সালের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়।

১৫৫৬ সালের ৫ই নভেম্বর থেকে আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয়। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।

পহেলা বৈশাখ বা পয়লা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন।

দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  বৈশাখী মেলায় কি কি পাওয়া যায়

পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের শুরু হয়েছিল পুরান ঢাকার মুসলিম মাহিফরাস সম্প্রদায়ের হাতে।

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। এছাড়াও দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত। – উইকিপিডিয়া

শেষ কথাঃ আশা করি পহেলা বৈশাখ কবে ও কত তারিখে তা জানতে পেরেছেন। মনে রাখবেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের নতুন বছরের শুরু, এটা কোন উৎসব নয়।

তাই আমাদের সকলেরই উচিৎ এই উৎসব পালন না করা, বিশেষ করে আমরা যারা মুসলমান তাদের এই উৎসব থেকে নিজেদের এবং আত্মীয়স্বজন সবাইকেই দূরে থাকা উচিৎ। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।