ইসলাম ধর্মচলমান প্রসঙ্গ

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৬ –  Sobe Meraj Kobe 2026

এই আর্টিকেলে আমরা জানবো ২০২৬ সালের শবে মেরাজ কত তারিখে ও কি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৬।

মেরাজ অর্থ হলো ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী আমাদের দেশে শবে মেরাজ হিসাবে পরিচিত। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অলৌকিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৬ –  Sobe Meraj Kobe 2026

অনেক মুসলমান, রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতকে শবে মেরাজের রাত মনে করেন। কিন্তু এই তারিখে যে মেরাজ ঘটেছিলো তার কোন সুস্পষ্ট দলিল নেই।

তবে রাসুল সাঃ এর জীবনে মেরাজ হয়েছিলো ইহা চরম সত্য। কিন্তু কত তারিখের রাতে মেরাজ হয়েছিলো তা নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। তাই যারা রজবের ২৭ রজনীকে শবে মেরাজ হিসেবে পালন করেন, তারা নিশ্চিত ভুল করছেন।

শবে মেরাজের আমল

এ রাতের কোনো ইবাদত আল্লাহর রসুলের কোনো হাদিসের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়নি। মেরাজের পরে নবীজি যত বছর বেঁচেছিলেন, তাকেও বিশেষ কোনো আমল করতে দেখা যায়নি। শবে মেরাজ এর বিশেষ কোনো আমল, রোজা বা ইবাদত নির্ধারিতভাবে শরীয়তে সাব্যস্ত নেই। 

তাই এই শবে মেরাজকে কেন্দ্র করে কোন বিশেষ আমল করা যাবেনা। শবে মেরাজ মনে করে বিশেষ রোজা, বিশেষ নামাজ বা অন্যান্য ইবাদাত করা যাবেনা। এগুলো বেদাতি কর্মকান্ড, এগুলো পরিহার করতে হবে।

শবে মেরাজ কেন বিদআত

  1. কুরআন ও হাদিসে নির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই: শবে মেরাজ পালনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বিধান বা বিশেষ আমল করার নির্দেশ কুরআন বা হাদিসে পাওয়া যায় না।
  2. সালাফদের আমলে প্রচলিত ছিল না: প্রাচীন সালাফ (সাহাবা ও তাবেয়ীনের) যুগে শবে মেরাজ পালনের কোনো নজির পাওয়া যায় না।
  3. ইবাদতের নিয়মে অতিরিক্ত সংযোজন: নির্দিষ্ট রাতে একত্রিত হয়ে ইবাদত করা বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা বিদআতের মধ্যে পড়তে পারে বলে মত দেওয়া হয়।

শবে মেরাজের শিক্ষা

শবে মেরাজ আমাদের জীবনে ধৈর্য, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং ইবাদতের গুরুত্বকে মনে করিয়ে দেয়।

মহানবী (সা.)-এর মেরাজের ঘটনা আমাদের শেখায় যে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ইমান ও আমলের প্রয়োজন।

উপসংহার

আশা করি, শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৬ (Sobe Meraj Kobe 2026) এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

মনে রাখবেন, এ রাতের কোনো ইবাদত আল্লাহর রসুলের কোনো হাদিসের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়নি। মেরাজের পরে নবীজি যত বছর বেঁচেছিলেন, তাকেও বিশেষ কোনো আমল করতে দেখা যায়নি। শবে মেরাজ এর বিশেষ কোনো আমল, রোজা বা ইবাদত নির্ধারিতভাবে শরীয়তে সাব্যস্ত নেই। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

অ্যাডব্লকার ডিটেক্ট হয়েছে!

মনে হচ্ছে আপনি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমাদের সাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করতে হবে। যদি অ্যাডব্লকার ব্যবহার না করেন, তাহলে পেজটি রিফ্রেশ করুন।